সৌরভমুখর সন্ধ্যা - Bengal News Room
বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিলের অ্যানুয়াল কনক্লেভ এর অনুষ্ঠানে ভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ভিন্ন সফল মানুষদের একত্রিত করা হয় বিভিন্ন আলোচনা সভার মাধ্যমে। কিন্তু বাঙালির সাফল্য নিয়ে আলোচনা হবে আর সেই আলোচনা সভায় মহারাজ থাকবেন না সেটা কি করে হয়। তাই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন মহারাজ যিনি ভারতীয়কে স্পর্ধা দেখানোর সাহস যুগিয়েছেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন আমি কথা বলছি  ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর কথা। তিনি আসবেন সেটা আগে থেকেই খবর ছিল। অপেক্ষার প্রহর গুন ছিল দর্শক মন্ডলী। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হল তিনি এলেন,  দেখলেন এবং জয় করলেন। 

মঞ্চে যখন মহারাজকীয়ভাবে তার পদার্পণ ঘটলো  দর্শক আসনের উচ্ছ্বাস ফেটে পড়ছিল। দাদা-দাদা ধ্বনিতে তখন মুখরিত গোটা অডিটরিয়াম। আদিত্য গ্রুপের চেয়ারম্যান অনির্বান আদিত্যর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এলো মহারাজের জীবনের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মুহূর্ত। জীবনের প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরি করা থেকে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত তার খেলোয়াড় জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই শিক্ষণীয়। ব্যবসায়িক জগৎ থেকে উঠে এসে খেলার জগতে স্বনামধন্য হলেন কিভাবে? এর উত্তরে মহারাজ বলেন,  তার বাবা খেলাধুলার জগতের মানুষ ছিলেন এবং তার দাদা যেহেতু খেলাধুলা করতেন তাই দাদার কাছ থেকেই প্রথম খেলাধুলার প্রশিক্ষণ পাওয়া।।

তিনি আরো বলেন "ব্যর্থতা আসবেই, কিন্তু আমাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে। সাফল্যের শিল্পে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।" তিনি বিশ্বাস করেন যে নেতৃত্বের বাইরেও, দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য অর্জনের জন্য আপনার দল এবং দলগত কাজের উপর আস্থা রাখা অপরিহার্য। "যদি আপনি কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস না করেন, তাহলে সাফল্য খোঁজার কোনও মানে হয় না। 


কিছু অর্জনের জন্য আপনাকে ঝুঁকি নিতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত, আপনার ক্রীড়ানুরাগী মনোভাব থাকা দরকার," তিনি বলেন। এও জানান একসাথে কাজ করতে হলে সবসময় অন্যকে একটু জায়গা ছাড়তে হয়, এই প্রসঙ্গে বলেন ধোনি এবং সেহবাগের কথা | তাঁদের কে নিজের মতো করে ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি কারণ তিনি যখন বুঝলেন তাঁদের খেলার  ধরনটা তখন তিনি আর কোনো নিয়মচাপিয়ে দেননি তাঁদের মতো করে ছেড়ে দিয়েছিলেন | আরো জানান প্রত্যেকের কাজের ধরণ আলাদা তাই সেটা বুঝে নিয়ে পথ চলা উচিত | 

গাঙ্গুলি আরও বলেন, “আমি যা খুশি করি তা করি। আমি খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নতি করতে এবং যুব উন্নয়নে অবদান রাখতে যা যা করা দরকার তা করব। আমি চাপকে বোঝা হিসেবে দেখি না; আমি এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখি। চাপের মুখোমুখি হওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল বারবার এর মুখোমুখি হওয়া এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা।”


তিনি দেশে বাঙালি উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধিতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন।  সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে ভারত-পাকিস্তান একই গ্রুপে পড়ার বিষয়ে গাঙ্গুলি বলেন, "খেলা অবশ্যই চলতে হবে। তবে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে পহেলগামের মতো ঘটনা যেন না ঘটে। সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করা দরকার, এবং ভারত এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।" অন্যাদিকে ঋষভ পন্থের ও প্রশংসা করেন | 

No comments:

Post a Comment

Pages